Tuesday 6 June 2017

পরিবেশ সচেতন কালীপিসি

আজ ৫জুন, 'আনতোরজাতিক পোরিবেশ' দিবস। এই পোসঙ্গে আমি দু-চারটে কথা বলবো, সবাই মন দিয়ে শোনো। পোরিবেশ মানে জীব জগত, আকাশ, বাতাস, মাটি। আর মাটি মানেই তো তোমারা জানো, মামাটি! সুতরাং পোরিবেশ রক্ষা মানে, মামাটিকে রক্ষা করা। আর পোরিবেশ নিয়ে আন্দোলন মানে, মামাটির আন্দোলন!

বত্তোমান সময়ে গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সমস্যা পোরিবেশ দূষণ। চারিদিকে এতো কলকারখানা, এতো শিল্পো, প্রতিদিন দূষণ ঘটাচ্ছে। আমাদের গরমেন্ট পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাই আমরা কারখানা ধ্বংস করে সেখানে সর্ষে চাষ করে বাংলাকে পোরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলেছি। হাইওয়ের পাশে আমার চকলেট অনশন, আসলে পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলন। এটা চিপকো আন্দোলনের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। আমরা ইতিমধ্যে সেই আন্দোলনের কথা ইতিহাসের সিলেবাসে দিয়েছি। ওনার সাথে কথা হয়েছে! উনি বলেছেন, এটা আইসিএসসি আর সিবিএসসি-র সিলেবাসে চালু করে দেবেন।

আমাদের গরমেন্ট কেবল এদেশের শিল্পো নয়, বিদেশ থেকেও শিল্পো আনতে চায় না! সিঙ্গাপুর, লন্ডন থেকে কতো বিনিয়োগ আসতে চেয়ে ছিল! কতো কারখানা করবে বলেছিল! জাম্মানি তো কালীঘাটের খাল পাড়ে বিএমডাবলিউ কারখানা খুলবে বলে উঠেপড়ে লেগেছিল! আমি সবাইকে না করে দিয়েছি! বলে দিয়েছি, বাংলার পোরিবেশ আমি নষ্ট হতে দেব না!

আমাদের গরমেন্ট পোথোম দিন থেকেই পোরিবেশ সচেতন। আমরা কোনো বন্ধ কারখানা খোলার উদ‍্যোগ নিইনি, বরঞ্চ অনেকগুলো চালু কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। এই যে চা শোমিকরা পোতিদিন গাছের পাতা আর কুঁড়ি ছিঁড়ে ক্ষতি করে! এর জন‍্য বাংলার বাতাসে অক্সিজেন কম হয়! আরে আমি মহেশের মতন মুখ্যু নই! আমি ইস্ট জজিয়া! সেই জন্যই আমি মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে চা বাগান গুলো না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইওয়ে থেকে শহর যত বুড়ো গাছ আছে আমি সব কেটে ফেলছি। আসলে ওগুলো সব বাম আমলের গাছ। আমাদের উইলকিনসন তো কবে থেকেই চন্দন গাছ কাটা শুরু করেছে! আয়লার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা পাথর বসিয়ে বা কংকিটের নদী বাঁধ বানাই নি, কারণ এতে পানীদের বাস্তুতন্ত্রের ওপর পোভাব পড়ে।

এই, এই, চোপ! চোপ! আমি কি বলছি শোনো!পোরিবেশ দূষনের অন‍্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক। আমাদের মামাটি গরমেন্টের কেউ প্লাস্টিক ব‍্যবহার করেনা, সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমদের পোতিনিধিরা তোয়ালে, খবরের কাগজ, কাপড়ের ব‍্যাগ ব‍্যবহার করে। আমাদের গরমেন্টের কেউ পানী (ছুঁচো) হত‍্যা করে না! আমরা কেবল জল ধরো জল ভরো করি না! আমরা বৃক্ষরোপণও করি! আরে আমাদের গরমেন্টের পোতিনিধিরা, গোলাপ চাষ করে জেলে গিয়েছে।

সিপেম আমলে মানে গত চৌত্রিশ বছরে বাংলার পোরিবেশের কোনো উন্নতি হয়নি! ওরা পোরিবেশ নিয়ে আদৌ সচেতন ছিলো না! বরঞ্চ ওদের সময়ে আমরা বেশী পোরিবেশ নিয়ে সক্রিয় ছিলাম। কতোগুলো ধম্মোঘট ডেকেছিলাম মনেকরে দেখুন! যত কম গাড়ি চলবে তত কম দূষণ হবে। ওরা এই ছ-বছরে কটা ধম্মোঘট ডেকেছে! সিপেম কোনোদিন বাংলায় হেলিকপ্টারে করে ভোট পোচার করার কথা চিন্তাই করতে পারেনি। মাত্তো একটা যান, দূষণ মিনিমাম।

পোরিবেশ নিয়ে আজ অনেক তথ‍্যই তোমাদের দিলাম। সাংবাদিক বন্ধুরা, সবাই টিফিন পেয়েছো তো! আমি আমার লেখা একটা কবিতা দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি..
এ সোনার বাংলাকে শিশুদের
বাসযোগ্য করে যাবো আমি,
যেখানে বিস্কুটের পেটিতে শুয়ে
শিশুরা একে অপরকে খাবে হামি!

(এটি কাল্পনিক রচনা। বাস্তবের সাথে কোনো মিল থাকলে কাকতালীয় )

Friday 2 June 2017

মহেশ

জৈষ্ঠ্যের দুপুরে মাটির ঘরের বারান্দায় বসে একহাতে তালপাতা দিয়ে বাতাস খাচ্ছিল আর অন‍্য হাতে গামছা দিয়ে ঘাম মুছছিল গফুর। উঠানে কিছু শুকনো চিবাচ্ছিল মহেশ। এমনসময় সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তর্করত্ন। গফুরকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখে, 'গফুর বাড়ি আছো নাকি!' বলে হাঁক দিয়ে রাস্তা ছেড়ে গফুরের বাড়ির দিকে এগোলো...

- একি গফুর, তুমি মাতার আজকাল খেয়াল রাখছো না! গরমে নিজে হাওয়া খাচ্ছো আর মাতাকে হাওয়া দিচ্ছ না!

(গফুর তর্করত্নের মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল)

- আমার মুখের দিকে না দেখে মাতার ডায়েটের দিকে লক্ষ্য দাও! এমন শুকনো খড় খাওয়ালে ২২ নয়, ১২ক‍্যারেটের সোনা পাবে চোনা তে!

(মহেশ একবার হাম্বা করে ডেকে উঠলো। তর্করত্ন ভাবলো মহেশ তার কথার সম্মতি জানালো।)

- (অবক হয়ে) মাতা কে? আমার আম্মা তো কবেই মারা গিয়েছে!

- ওরে গাধা মাতা মানে গো-মাতা! সেটাও জানিস না! আরে ৩৩কোটি দেবতা মিলেমিশে ককটেল হয়ে আছে তোর মহেশের মধ‍্যে। আর তুই কিনা ৩৩কোটি দেবতাকে মানে মহেশকে এই ভাবে রোদে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস! যদি জমিদারের গো-রক্ষক বাহিনীর চোখে পড়ে তাহলে তোকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। যদি মাতা সানস্টোক হয়ে মারা যায় তাহলে তোর কি অবস্থা হবে জানিস!

- আজ্ঞে, সামনেই চাষের সিজন। মহেশ মারা গেলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে।

- আরে মহেশ মারা যাওয়া মানে ৩৩কোটি দেবতা মারা যাওয়া। তুই শুধু চাষের কথা ভাবছিস! এই যে গরমে মাঠ ঘাট সব আগুন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তোর খড়ের ঘরের চালার তলাটা ঠান্ডা সেটা মহেশের জন‍্য!

- তাই নাকি?

- আরে মহেশই তো, সমস্ত কসমিক রে, তেজস্ক্রিয় আলো, সব নিজের শিং দিয়ে শোষণ করে নিচ্ছে। তোর মেয়ে প্রতিদিন ঘরের মাটির দেওয়ালে গোবর লেপে দেয় বলেই তো তোর ঘরটা এতো ঠান্ডা। এই যে তুই এতো বিড়ি খাস, তাও তোর ক‍্যানসার হয়নি। কারণ তুই রোজ দুধ খাস। আর গোমূত্র তো অমৃত! তুই এতদিনে যত পাপ করেছিস, এমনকি পূর্বজন্মের পাপও সব ধুয়ে যাবে গো-মূত্র খেলে।

- বলো কি পন্ডিত! যদি পেট খারাপ হয়!

- ধুর! পেট খারাপ, ওলাওঠা সব সেরে যাবে! প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে গোবর খাবি। তাছাড়া এই যে মহেশ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা তোর বাড়িতে হাম্বা হাম্বা করে ঢাকছে, এতেই আশেপাশের সমস্ত জীবানু মরে যাবে। আরে মহেশ ঘরে আছে মানেই তোর ঘর আর ঘর নেই! জানবি ওটা নার্সিংহোম।

(মহেশ একবার শিং নাড়িয়ে হাম্বা করে ঢেকে উঠলো)

- (অবাক হয়ে) বলো কি পন্ডিত! মহেশের এতো গুণ!

- এই যে তুই মাঠে থেকে হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে বারান্দায় বসে বুক ভরে দম নিতে পারছিস, সেটাও মহেশের জন‍্য। মহেশই তো তোকে অক্সিজেন সাপ্লাই দিচ্ছে।

(ইস্কুল থেকে ফিরে আমিনা এতক্ষণ তর্করত্নের পিছনে দাঁড়িয়ে কথা গুলো শুনছিল। এবারে আমিনা তর্করত্নের কথা ধরলো..)

- কেবলমাত্র গাছ অক্সিজেন দেয়। আর কিছু নিন্ম শ্রেণীর প্রাণী।

(তর্করন্ত পিছন ফিরে আমিনাকে দেখে)

- ইস্কুল থেকে ফিরলে বুঝি!

- বলছিলাম গরু কোনোদিন অক্সিজেন দিতে পারে না। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।

- (হাসি মুখে) আমার কোনো ভুল হয়নি! আসলে এসব তথ‍্য তোমাদের ইস্কুলের বিজ্ঞানের স‍্যারেরাও জানেন না! তাই তোমাদের শেখাতে পারেনি! আরে গো-মূত্র খেলে যে লিভার ভালো থাকে, শ্বেত রক্ত কনিকা লাফায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দুধে কেরেটিন প্রোটিন থাকে, ভিটামিন-এ সংশ্লেষ হয়! এসব তথ‍্য ওনারা কিছুই জানেন না। আর গরুর এতো গুণ আছে বলেই না কদিন পরেই গরু আমাদের জাতীয় পশু হবে! সে খবর তুমি রাখো!

- জাতীয় পশু তো বাঘ। তা হঠাৎ বাঘকে সরিয়ে গরু কেন?

- বাঘেরা এখন সংখ‍্যালঘু। আর সংখ‍্যালঘুরা কোনোদিন দেশের প্রতীক হতে পারে!

- তাহলে তো ময়ূরকে সরিয়ে কাককে জাতীয় পাখি করা উচিত! ময়ূরের থেকে কাকের সংখ্যা তো অনেক বেশী। তাছাড়া কাককে জাতীয় পাখি করলে স্বচ্ছ ভারত অভিযানটাও খানিকটা গতি পাবে!

- না না, ওটা হচ্ছে না! গরু জাতীয় পশু আর কাক জাতীয় পাখি হলে তো গেরুয়া সবুজ জোটটা সবাই বুঝতে পেরে যাবে! তাছাড়া ময়ূর
ওরা তো সঙ্গম করে না! ওরা ব্রম্ভচর্য পালন করে।

- তাহলে ময়ূরের বাচ্ছা হয় কি করে?

- ময়ূর বর্ষাকালে আকাশ ডাকলে ভয়ে কাঁদে, তখন ময়ূরী ছুটে আসে আর ময়ূরের চোখের জল খেয়ে নেয়। ওরা তো আর আমাদের মতন রুমাল দিয়ে মুছে দিতে পারে না। ময়ূরের সেই চোখের জল খেয়েই ময়ূরী গর্ভবতী হয়।

- মোটেই না। বাজে কথা। ওরা সঙ্গম করে।

- মেয়ের সাহস তো কম নয়! তক্করত্নের মুখের ওপর তক্ক করে! জানিস তুই, সাত গেরামের সবাই আমার কথা মান‍্যি করে!

- আমি স্কুলে আমার বন্ধুদের মোবাইলে ইউটিউবে দেখেছি ময়ূর ময়ূরী সঙ্গম করে।

- ঐ দ‍্যাখ গফুর, তোর মেয়ে আজকাল ইস্কুলে গিয়ে কিসব দেখছে! পই পই করে বলেছিলুম, মেয়েকে ইস্কুলে পাঠাস নে! এখন বুঝলি তো! আজ আমার বিরূদ্ধে কথা বলছে, কাল জমিদারের বিরুদ্ধে বলবে, পরশু দ‍্যাশের বিরুদ্ধে বলবে! তোর মেয়ে শীঘ্রই দেশদ্রোহী হয়ে যাবে! কথাটা মিলিয়ে নিস....

তর্করত্ন আমিনার কাছে যোগ‍্য জবাব পেয়ে নিজের লাইনে ফিরে গেল, মানে ঐ উঠান টপকে যে পথে এসেছিল সেই পথ দিয়ে ধুতি গুটিয়ে জোরে পা চালালো। মুখে তার একটাই কথা- মেয়ের মুখের কি ভাষা! রাম! রাম!

আমিনা পিছন থেকে চেঁচিয়ে বলল, রাম রাম নয়! জয় শ্রীরাম বলুন পন্ডিতমশাই!

(শরৎচন্দ্রের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী

জামাইষষ্ঠী স্পেশাল

জামাইষষ্ঠীর দিন সন্ধ‍্যাবেলায় সমস্ত ভাইয়েরা হরিশ চ‍্যাটারর্জি স্ট্রিটে হাজির। কালিপিসি সবার খোঁজ খবর নিচ্ছে কে কেমন জামাইষষ্ঠী কাটালো...

- কিরে কানন, টিভিতে দেখলাম ইলিশ, চিংড়ি, মটন বেশ জম্পেশ করে সাটাচ্ছিস!

- (একগাল হেসে) শাশুড়ি আদর করে দিলে না খেয়ে থাকা যায়! তাছাড়া তুমি তো জানোই, খাওয়ার সময় আমার ম‍্যাক্সিমাম মিনিমামের কথা মাথায় থাকে না!

- তোয়ালেটা তো পুরো হলুদ করে ফেলেছিস! আর কতোবার তোকে বারং করেছি, ক‍্যামেরার সামনে খাবি না!

- না না ওরা হুল ফোটায় না! ওরা এগিয়ে রাখে! তাই ভাবলুম আজকের দিনে যদি বাকি জামাইদের থেকে একটু এগিয়ে থাকা যায়! যদি সন্ধ‍্যাবেলায় শালা শালিরা আমাকে নিয়ে 'ঘন্টাখানেক' হই হুল্লোড় করে! তাই আরকি!

- তা শমিত দা, শাশুড়ির জন‍্য কি নিয়ে গেলে?

- ঐ একটা ছাপা শাড়ী।

- ছাপা কেন? জামদানি, ঢাকাই, ধনেখালী কিছুই পেলে না!

- আজ্ঞে, ঐ ধনই তো এখন খালি! একেই ৩৪ বছরের দেনা, তার ওপর এতবার বাজার থেকে ধার করেছি শশুর বাড়ির লোকজন আমাকে এখন 'ধারালো জামাই' বলে।

- তা অধিকারী, তোমার কি খবর? শশুরবাড়ি গিয়েছিলে?

- আমাকে তো আমার শাশুড়ি একদিন আগেই অপহরণ করে নিয়ে যায়! যদি দিনের দিন খুঁজে না পায়!

- কিরে পাত্তো, তোকে শাশুড়ি কি দিলো?

- গিন্নি আগে থেকেই শাশুড়িকে বলে রেখেছিল, টেট হোক বা জামাইষষ্ঠীর ভেট, জামাইয়ের ফিক্সড রেট। ১২লাখের কম দামি কোনো গিফ্ট নেয় না।

- প্রদীপ'দা, তুমি কি হাসপাতালেই এবারে ষষ্ঠী খেলে?

- ডাক্তার রিচ খেতে মানা করেছে। তাই শাশুড়ি জিরেবাটা, কাঁচকলা, পেঁপে দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল করেছিল। শালাবাবু সাইকেলে করে হাসপাতালে দিয়ে গেছে।

- নকুল'দার কেমন কাটলো জামাইষষ্ঠী?

- আমার তো দু-জায়গা থেকে ডাক এসেছিল। সত‍্যি, শিউলীর মায়ের হাতের রান্না ভজহরি মান্নাকেও হার মানায়।

- তা বেচা, তোমার তো হাই প্রেসার! তেলের রান্না তো খাওয়া বারং! শাশুড়ি কি স‍্যুপ করেছিল?

- না না! শাশুড়ি সিঙ্গুর সরিষার তেল দিয়ে রান্না করেছিল। একেবারে কোলেস্টেরল ফ্রি!

- ঐ দ‍্যাখো আরেকজন আসা থেকেই ঢুলছে। হ‍্যাঁরে মদনা, দুবছর জেল খেটে জামাইষষ্ঠী গেলি, কেমন খাওয়ালো? কি কি মাছ হয়েছিল? খাসিটাকি রেওয়াজি?

- (ঢুলতে ঢুলতে) ওসব আমার কিছুই মনে নেই! শাশুড়ি মাংস কষছিল, আমি বাটি নিয়ে গিয়ে বললাম, দুপিস কষা দাও। তারপর ঐ দুপিস কষা দিয়েই একটা পুরো বাংলা টেনে দিলাম। স্যাট করে মাথায় লেগে গেল। তারপর শালী এসে দুটো মিস্টি খাওয়াতেই ফুল আউট! বৌ, শালি এমনকি শশুর বাড়ির কাজের মেয়ে, যাকেই দেখি যেন পিয়ালী বলে মনে হয়!

(হঠাৎ হাকিম বেরিয়ে গেল)

- কি হলো হাকিম সাহেব? কোথায় চললেন?

- আমার রোজা চলছে। এইসময় বসে বসে এমন সব খাবারের নাম কতক্ষণ শোনা যায়!

(দরজার দিকে তাকিয়ে)
- কি খোকাবাবু মনখারাপ করে দাঁড়িয়ে কেন?

- 'আ...মি কবে জা...মাইছটি যাব! সবাই এ....নজয় করছে, আমি কবে করবো! আমার কি আদৌ বি....ইয়ে হবে না!'

- (খোকাবাবুর দিকে তাকিয়ে মদনা) আমার তো খেলে কথা জড়ায়, তোর তো সারাক্ষণ জড়ায়। তোকে কে বিয়ে করবে!

- (কালিপিসি মদনাকে ধমক দিয়ে খোকাবাবুর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে) চিন্তা করিস না, তোর জন্য আমি গরমেন্ট থেকে পাত্রীচাই বিজ্ঞাপন দেব। আগামী বছর থেকে গরমেন্ট জামাইশ্রী দেওয়া শুরু করবে। আর হ‍্যাঁ, আগামী বছর থেকে জামাইষষ্ঠী উৎসবে সমস্ত সরকারি অফিস 'পুন্ন' দিবস ছুটি থাকবে।

(সব চরিত্র কাল্পনিক)