কালীপিসির কবিতা পাঠ
গতকাল বিশ্ব কবিতা দিবস ছিল। কিন্তু ঐ নারদ মামলার জন্য ওটা আর সেলিব্রেশন করা হয়নি। বুঝতেই তো পারছো কতো চাপে রয়েছি। 'সুপিম কোট' একমাস সময় দিয়েছে, তাই একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম। একমাসের ভিতর ঠিক ম্যানেজ করে নেব। যাক সে কথা! শুনলুম এদিকে নাকি 'শিজাত' আমার 'মাকেট' ডাউন করে দিয়েছে! কি দুলাইন লিখে সব টিআরপি কেড়ে নিয়েছে!
'শিজাত' যদি 'তিশূল' নিয়ে কবিতা লিখতে পারে তাহলে আমিও 'তিফলা' নিয়ে ওর থেকেও হাজার গুন ভালো 'পোতিবাদী' কবিতা লিখতে পারি!
"শুক্ততে লাগে কাঁচকলা/ঐ দ্যাখো জ্বলছে তিফলা/খেতে ভালোবাসতো অভীর বাপ/তিফলার গায়ে নীলসাদা সাপ/শুক্ত বড়োই প্রিয় আমার/রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার"। কেমন হলো বল! একি, হাততালি কই!
হতে পারে ও 'শিজাত', কবিতা জিনিটা কিন্তু আমার সহজাত। ভেতর থেকে অটোমেটিক চলে আসে। এই যেমন ধরো, আমি পাহাড়ে সভা করতে যাচ্ছি, হঠাৎ ঝন্না দেখে দুলাইন লিখে ফেললুম। 'ঝন্না ঝন্না ঝন্না/পাহাড়ে আনবো উন্নয়নের বন্যা/ হাইওয়েতে ধন্না/আমিই অগ্নিকন্যা"। যখন মন্দারমনিতে সান্ধ্য 'ভোমোনে' বেরিয়ে 'সূয্যাস্তের' আলোয় রোজভ্যালির হোটেলটাকে দেখতাম, ঠিক যেন তাজমহল মনে হত। নিজের অজান্তেই লিখে ফেলতাম,'রোজভ্যালি রোজভ্যালি/হাততালি হাততালি/কালিঘাটে আছে কালী/আমি হবো তোমার মালি'। আবার যখন জঙ্গলমহলে 'ছত্তধরের' সাথে সভা করতে যেতাম তখন শাল পলাশের 'পেমে' পড়ে দুলাই লিখে ফেলতাম,' ওরে আমার শাল/ওরে আমার পলাশ/তোদের মাঝেই পড়ে আছে সালুক সোরেনের লাশ'। আমি বিদেশ 'ভোমোন' করে এসে একটা 'আন্তোজাতিক' মানের কবিতা লিখেছিলাম, ' লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর/বিনিয়োগ অনেক দুর/ কোনদিনই আসবে না মানি/ বিএমডাবলিউ দেবেনা 'জাম্মানি'।'
সামনে বসা ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বলল, পিসি বিশ্ব বাংলা নিয়ে দুলাইন। পেছনের দিক থেকে একজন বলল, বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে একটা হয়ে যাক! পাশ থেকে একজন বলল, পিসি শিশুদের জন্য শিশুচুরি নিয়ে একটা ছড়া হোক। কালীপিসি হাত তুলে বলল, ঠিক আছে সব হব। কবিতা শুনে জোরে হাততালি দিতে হবে কিন্তু!" বিশ্ব বাংলা, আহারে বাংলা/খাচ্ছে দ্যাখো যেন হ্যাংলা/ এতকিছু কি করে গেলো/ভুলেও যেও না অ্যাপেলো"। এবারে শিশুচুরি ছড়া," ইশ্বর আল্লা জিশু/জুহি চন্দনা শিশু/প্যান্টে করে হিসু/এটা ঐতিহাসিক ইসু।"
ভিড়ের মধ্যে থেকে 'পিসি পিসি' বলে আবদার এলো, নরেন মুদিকে নিয়ে একটা রোমান্টিক কবিতা বলতে হবে। শুনেই তো পিসির গাল লজ্জায় গেরুয়া হয়ে গেলো। তারপর পিসি কবিতা শুরু করলো,' তুমি লাড্ডু, আমি ল্যাংচা/ তুমি পদ্ম, আমি ঘাস/ তুমি দিতেই পারো না আমায় বাঁশ/এটা আমার অন্তরের বিশ্বাস'।
তবে এই বিশ্ব কবিতা দিবসে আমি মামাটির জন্য একটা 'ইস্পেশাল' কবিতা লিখেছি সেটা বলেই আজকের সভা শেষ করবো।
এই আমরা কারা - তিনোমূল
যাচ্ছে কারা - তিনোমূল
এই রাজপথেতে - তিনোমূল
এই বুক চিতিয়ে - তিনোমূল
(হঠাৎ ভিড়ের মাঝে থেকে একজন বলে উঠলো) পিসি এটা তো এসএফআই-এর স্লোগান!
এই কে বললি রে? কেষ্টা, ভিড়ের মধ্যে থেকে মালটাকে বার করে নিয়ে স্টেজের পিছনে আন তো...
গতকাল বিশ্ব কবিতা দিবস ছিল। কিন্তু ঐ নারদ মামলার জন্য ওটা আর সেলিব্রেশন করা হয়নি। বুঝতেই তো পারছো কতো চাপে রয়েছি। 'সুপিম কোট' একমাস সময় দিয়েছে, তাই একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম। একমাসের ভিতর ঠিক ম্যানেজ করে নেব। যাক সে কথা! শুনলুম এদিকে নাকি 'শিজাত' আমার 'মাকেট' ডাউন করে দিয়েছে! কি দুলাইন লিখে সব টিআরপি কেড়ে নিয়েছে!
'শিজাত' যদি 'তিশূল' নিয়ে কবিতা লিখতে পারে তাহলে আমিও 'তিফলা' নিয়ে ওর থেকেও হাজার গুন ভালো 'পোতিবাদী' কবিতা লিখতে পারি!
"শুক্ততে লাগে কাঁচকলা/ঐ দ্যাখো জ্বলছে তিফলা/খেতে ভালোবাসতো অভীর বাপ/তিফলার গায়ে নীলসাদা সাপ/শুক্ত বড়োই প্রিয় আমার/রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার"। কেমন হলো বল! একি, হাততালি কই!
হতে পারে ও 'শিজাত', কবিতা জিনিটা কিন্তু আমার সহজাত। ভেতর থেকে অটোমেটিক চলে আসে। এই যেমন ধরো, আমি পাহাড়ে সভা করতে যাচ্ছি, হঠাৎ ঝন্না দেখে দুলাইন লিখে ফেললুম। 'ঝন্না ঝন্না ঝন্না/পাহাড়ে আনবো উন্নয়নের বন্যা/ হাইওয়েতে ধন্না/আমিই অগ্নিকন্যা"। যখন মন্দারমনিতে সান্ধ্য 'ভোমোনে' বেরিয়ে 'সূয্যাস্তের' আলোয় রোজভ্যালির হোটেলটাকে দেখতাম, ঠিক যেন তাজমহল মনে হত। নিজের অজান্তেই লিখে ফেলতাম,'রোজভ্যালি রোজভ্যালি/হাততালি হাততালি/কালিঘাটে আছে কালী/আমি হবো তোমার মালি'। আবার যখন জঙ্গলমহলে 'ছত্তধরের' সাথে সভা করতে যেতাম তখন শাল পলাশের 'পেমে' পড়ে দুলাই লিখে ফেলতাম,' ওরে আমার শাল/ওরে আমার পলাশ/তোদের মাঝেই পড়ে আছে সালুক সোরেনের লাশ'। আমি বিদেশ 'ভোমোন' করে এসে একটা 'আন্তোজাতিক' মানের কবিতা লিখেছিলাম, ' লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর/বিনিয়োগ অনেক দুর/ কোনদিনই আসবে না মানি/ বিএমডাবলিউ দেবেনা 'জাম্মানি'।'
সামনে বসা ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বলল, পিসি বিশ্ব বাংলা নিয়ে দুলাইন। পেছনের দিক থেকে একজন বলল, বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে একটা হয়ে যাক! পাশ থেকে একজন বলল, পিসি শিশুদের জন্য শিশুচুরি নিয়ে একটা ছড়া হোক। কালীপিসি হাত তুলে বলল, ঠিক আছে সব হব। কবিতা শুনে জোরে হাততালি দিতে হবে কিন্তু!" বিশ্ব বাংলা, আহারে বাংলা/খাচ্ছে দ্যাখো যেন হ্যাংলা/ এতকিছু কি করে গেলো/ভুলেও যেও না অ্যাপেলো"। এবারে শিশুচুরি ছড়া," ইশ্বর আল্লা জিশু/জুহি চন্দনা শিশু/প্যান্টে করে হিসু/এটা ঐতিহাসিক ইসু।"
ভিড়ের মধ্যে থেকে 'পিসি পিসি' বলে আবদার এলো, নরেন মুদিকে নিয়ে একটা রোমান্টিক কবিতা বলতে হবে। শুনেই তো পিসির গাল লজ্জায় গেরুয়া হয়ে গেলো। তারপর পিসি কবিতা শুরু করলো,' তুমি লাড্ডু, আমি ল্যাংচা/ তুমি পদ্ম, আমি ঘাস/ তুমি দিতেই পারো না আমায় বাঁশ/এটা আমার অন্তরের বিশ্বাস'।
তবে এই বিশ্ব কবিতা দিবসে আমি মামাটির জন্য একটা 'ইস্পেশাল' কবিতা লিখেছি সেটা বলেই আজকের সভা শেষ করবো।
এই আমরা কারা - তিনোমূল
যাচ্ছে কারা - তিনোমূল
এই রাজপথেতে - তিনোমূল
এই বুক চিতিয়ে - তিনোমূল
(হঠাৎ ভিড়ের মাঝে থেকে একজন বলে উঠলো) পিসি এটা তো এসএফআই-এর স্লোগান!
এই কে বললি রে? কেষ্টা, ভিড়ের মধ্যে থেকে মালটাকে বার করে নিয়ে স্টেজের পিছনে আন তো...