দুর্গা= কৈ রে, বলি তোদের সাজুগুজু করা হলো! তাড়াতাড়ি নে, তোদের পিসি রেড রোডে অপেক্ষা করছে তো।
সরস্বতী = মা, এই স্কার্টটা কেমন? এটা পরেই ভাবছি এবারে ক্যাট ওয়ার্ক করবো!
দুর্গা = তুই কি পাগল নাকি! এই টাইট মিনিস্কার্ট পরে ওখানে কেউ হাঁটে নাকি! যদি হঠাৎ জ্বর বমি হয়ে যায়!
সরস্বতী = আরে চিন্তা করছো কেন! আঙ্কেল তো এবারের কার্নিভালে নেই, ভুবনেশ্বরে আছে। তাই কোনো চিন্তা নেই!
দুর্গা = ওরে আঙ্কেল নেই তো কি হয়েছে, আঙ্কেলের ছেলেরা তো আছে। যদি ফস করে ঢুকে পড়ে! তাছাড়া আশেপাশে অনেক দুষ্টু দামালরা থাকবে। বিদায় বেলায় যদি একটা ছোট্টো ঘটনা ঘটে যায়! তোর পিসি তো ক্ষতিপূরণ ঘোষনা করেই খালাস হয়ে যাবে।
সরস্বতী = তাহলে কি পরবো? দিদি নম্বর ওয়ানে জেতা শাড়িটা? নাকি এবছরের লেটেস্ট, বাহুবলী চুড়িদার?
দুর্গা = চুড়িদারটাই পর। বাহুবলী নামটার মধ্যে একটা ইয়ে আছে...
লক্ষী = মা, আমার কন্যাশ্রীর বালা দুটো খুঁজেই পাচ্ছি না! পিসি বারবার করে বলে দিয়েছে ও দুটো পরে আসতে।
দুর্গা = থাক মা, ও দুটো আর পরে কাজ নেই। ওখানে ছিঁচকে চোর থেকে ডাকাত, তোলাবাজ থেকে গুন্ডা সবাই আছে।
লক্ষী = পিসি তো গুন্ডা কন্ট্রোল করে, তাহলে ভয় কিসের?
দুর্গা = সেটা যেমন ঠিক, তেমন তোর পিসি মিলেমিশে ভাগ করে খেতেও বলে।
কার্তিক = মা, আমি ভাবছি, ময়ূরে করে না গিয়ে এবারে সবুজ সাথীর সাইকেলে করে কার্নিভালে যাবো।
দুর্গা = ঐ তো সাইকেলের হাল! দেখিস মাঝপথে ভেঙে যায়!
গনেশ = (সিঙাড়া খেতে খেতে এসে ) মা আমি তাহলে দাদার ময়ূরে চড়ে যাবো?
দুর্গা = না বাবা গনশা, তোমার চাপে যদি ময়ূর মাঝপথে কেঁদে ফেলে তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে! আর তুমি এভাবে সিঙাড়া খেতে খেতে বাইরে বেরিও না, সিবিআই ইডির চোখে একবার পড়লে আর রক্ষে থাকবে না!
মহিষাসুর = মা, আমি কি গতবারের মতন মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে যাবো?
দুর্গা = ওটা ব্যাকডেটেড, পিসি কেসটা অনেকদিন আগেই শেষ করে দিয়েছে।
মহিষাসুর = তাহলে কি ফ্রেঞ্জকাট দাড়ি নিয়ে হাতে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হাঁটবো?
দুর্গা = এটা যদিও টাকটা কেস, তবে আমার মনেহয় তুই একটা রঙিন জহরকোট পরে মাথায় একটা পাহাড়ি টুপি পরে নে। আর হ্যাঁ, হাঁটার সময় চোখ দুটো ছোট করে খুলবি।
কলা বৌ = মা, পিসি গতবছর বলেছিলো, পরেরবার বিএমডব্লিউ আর ভলবো করে কার্নিভালে নিয়ে যাবে। তা কই এবারে তো কিছু পাঠালো না!
দুর্গা = বলিহারি বৌমা তোমার আশা, যে বন্যা ত্রানে হেলিকপ্টার পাঠায় না, সে আমাদের জন্য ভলবো বিএমডব্লিউ পাঠাবে! খোলা ট্রাকে করে হাওয়া খেতে চলো।
( দুর্গার স্বপরিবারে কার্নিভালে প্রবেশ)
পিসি = আরে গৌরী, নীলসাদা শাড়িতে তোমাকে দারুণ লাগছে! গলায় উজ্জ্বল মুক্তোর হারটা দেখে মনে হচ্ছে ওটা ত্রিফলার গায়ে পেঁছিয়ে থাকা আলো। আমার তো দেখেই অটোমেটিক কবিতা পাচ্ছে..
(এই কথা শোনা মাত্রই সরস্বতী আর লক্ষী কানে হেডফোন গুঁজে দিয়েছে)
দুর্গা = দয়াকরে আমাকে গৌরী নামে ডাকবেন না। আসলে ঐ নামে ডাকলেই মনেহয় কেউ আমাকে এখুনি গূলি করবে।
পিসি = হ্যাঁরে গনশ, তোকে কতো করে বলেছি ডায়েট কন্ট্রোল কর। তোর মধ্যপ্রদেশ তো পাত্তোকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই ভুড়ি নিয়ে ক্যাট ওয়ার্ক হয়! এবারে যাওয়ার সময় এক পেটি সিঙ্গুর সরিষার তেল নিয়ে যাবি। একেবারে কোলেস্টেরল ফ্রী। আর তোর বৌ-টা তো শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে আহারে বাংলা বা ইলিশ উৎসবে নিয়ে এসে ভালোমন্দ খাওয়া।
(কার্তিককে ডিএসএলআর-এ ছবি তুলতে দেখে পিসি রেগে গিয়ে)
পিসি = এই! এই কাতু! ওটা ব্যাগে ঢোকা আগে। চালাকি পায়া হ্যায়! কার্নিভালে এসে ম্যাথুর মতন স্টিং করতা হ্যায়!
কার্তিক = আরে না না! আমি ফেসবুকে দেব বলে ছবি তুলছি।
পিসি = ওসব আমি নেহি জানতা হ্যায়! ক্যামেরা দেখলেই আমার স্নেহের ভাই গুলো ভয় পায়! আসলে, গোয়াল বার্নিং কাউ ফিয়ার সিঁদুরে ক্লাউড, আরকি!
(কার্তিক ক্যামেরা ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার তীর ধনুক নিয়ে পোজ দিতে শুরু করলো)
পিসি = তুই কি রে কাতু! এখনো তীর ধনুকেই পড়ে আছিস! ওরে কেস্টা ওকে দু-চারটে পেটো অন্তত দে।
(লক্ষীর দিকে তাকিয়ে)
পিসি = তোকে কতোবার ফোন করে বিশ্ব ব্যাঙ্গ সম্মেলনে আসতে বললাম, তাও একবারও এলি না! আগে তো প্রায় সুদীপ কাকুর সাথে অ্যাম্বুলেন্সে চড়েও আসতিস!
(সরস্বতী নোটপ্যাড নিয়ে ব্যস্ত। তার দিকে তাকিয়ে খানিকটা রেগে গিয়ে)
পিসি = যতই খুটুর পুটুর করো না কেন, ভুলে যেও না , ইন্টারনেট ব্যালেন্স আমার গরমেন্টই ভরে।
মহিষাসুর = পিসি আমাদের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিটার কি হলো?
পিসি = আমি তোর সাথে একটাও কথা বলবো না। আমাকে মা বোলতা হ্যায়। ওউর হামার বিরুদ্ধে চক্কান্ত করতা হ্যায়!
দুর্গা = পিসি এবারে অন্তত বিদায় দিন। আমার ভোলেবাবা হয়তো আমাকে ভুলেই গেছে..
পিসি = চিন্তা করিস না! যেতে দেরি হবে সেটা আমি হোয়াটস অ্যাপ করে দিয়েছি। আর হ্যাঁ, ভোলেবাবা যাতে একাএকা বোরিং না হয় তাই মদনাকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সরস্বতী = মা, এই স্কার্টটা কেমন? এটা পরেই ভাবছি এবারে ক্যাট ওয়ার্ক করবো!
দুর্গা = তুই কি পাগল নাকি! এই টাইট মিনিস্কার্ট পরে ওখানে কেউ হাঁটে নাকি! যদি হঠাৎ জ্বর বমি হয়ে যায়!
সরস্বতী = আরে চিন্তা করছো কেন! আঙ্কেল তো এবারের কার্নিভালে নেই, ভুবনেশ্বরে আছে। তাই কোনো চিন্তা নেই!
দুর্গা = ওরে আঙ্কেল নেই তো কি হয়েছে, আঙ্কেলের ছেলেরা তো আছে। যদি ফস করে ঢুকে পড়ে! তাছাড়া আশেপাশে অনেক দুষ্টু দামালরা থাকবে। বিদায় বেলায় যদি একটা ছোট্টো ঘটনা ঘটে যায়! তোর পিসি তো ক্ষতিপূরণ ঘোষনা করেই খালাস হয়ে যাবে।
সরস্বতী = তাহলে কি পরবো? দিদি নম্বর ওয়ানে জেতা শাড়িটা? নাকি এবছরের লেটেস্ট, বাহুবলী চুড়িদার?
দুর্গা = চুড়িদারটাই পর। বাহুবলী নামটার মধ্যে একটা ইয়ে আছে...
লক্ষী = মা, আমার কন্যাশ্রীর বালা দুটো খুঁজেই পাচ্ছি না! পিসি বারবার করে বলে দিয়েছে ও দুটো পরে আসতে।
দুর্গা = থাক মা, ও দুটো আর পরে কাজ নেই। ওখানে ছিঁচকে চোর থেকে ডাকাত, তোলাবাজ থেকে গুন্ডা সবাই আছে।
লক্ষী = পিসি তো গুন্ডা কন্ট্রোল করে, তাহলে ভয় কিসের?
দুর্গা = সেটা যেমন ঠিক, তেমন তোর পিসি মিলেমিশে ভাগ করে খেতেও বলে।
কার্তিক = মা, আমি ভাবছি, ময়ূরে করে না গিয়ে এবারে সবুজ সাথীর সাইকেলে করে কার্নিভালে যাবো।
দুর্গা = ঐ তো সাইকেলের হাল! দেখিস মাঝপথে ভেঙে যায়!
গনেশ = (সিঙাড়া খেতে খেতে এসে ) মা আমি তাহলে দাদার ময়ূরে চড়ে যাবো?
দুর্গা = না বাবা গনশা, তোমার চাপে যদি ময়ূর মাঝপথে কেঁদে ফেলে তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে! আর তুমি এভাবে সিঙাড়া খেতে খেতে বাইরে বেরিও না, সিবিআই ইডির চোখে একবার পড়লে আর রক্ষে থাকবে না!
মহিষাসুর = মা, আমি কি গতবারের মতন মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে যাবো?
দুর্গা = ওটা ব্যাকডেটেড, পিসি কেসটা অনেকদিন আগেই শেষ করে দিয়েছে।
মহিষাসুর = তাহলে কি ফ্রেঞ্জকাট দাড়ি নিয়ে হাতে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হাঁটবো?
দুর্গা = এটা যদিও টাকটা কেস, তবে আমার মনেহয় তুই একটা রঙিন জহরকোট পরে মাথায় একটা পাহাড়ি টুপি পরে নে। আর হ্যাঁ, হাঁটার সময় চোখ দুটো ছোট করে খুলবি।
কলা বৌ = মা, পিসি গতবছর বলেছিলো, পরেরবার বিএমডব্লিউ আর ভলবো করে কার্নিভালে নিয়ে যাবে। তা কই এবারে তো কিছু পাঠালো না!
দুর্গা = বলিহারি বৌমা তোমার আশা, যে বন্যা ত্রানে হেলিকপ্টার পাঠায় না, সে আমাদের জন্য ভলবো বিএমডব্লিউ পাঠাবে! খোলা ট্রাকে করে হাওয়া খেতে চলো।
( দুর্গার স্বপরিবারে কার্নিভালে প্রবেশ)
পিসি = আরে গৌরী, নীলসাদা শাড়িতে তোমাকে দারুণ লাগছে! গলায় উজ্জ্বল মুক্তোর হারটা দেখে মনে হচ্ছে ওটা ত্রিফলার গায়ে পেঁছিয়ে থাকা আলো। আমার তো দেখেই অটোমেটিক কবিতা পাচ্ছে..
(এই কথা শোনা মাত্রই সরস্বতী আর লক্ষী কানে হেডফোন গুঁজে দিয়েছে)
দুর্গা = দয়াকরে আমাকে গৌরী নামে ডাকবেন না। আসলে ঐ নামে ডাকলেই মনেহয় কেউ আমাকে এখুনি গূলি করবে।
পিসি = হ্যাঁরে গনশ, তোকে কতো করে বলেছি ডায়েট কন্ট্রোল কর। তোর মধ্যপ্রদেশ তো পাত্তোকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই ভুড়ি নিয়ে ক্যাট ওয়ার্ক হয়! এবারে যাওয়ার সময় এক পেটি সিঙ্গুর সরিষার তেল নিয়ে যাবি। একেবারে কোলেস্টেরল ফ্রী। আর তোর বৌ-টা তো শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে আহারে বাংলা বা ইলিশ উৎসবে নিয়ে এসে ভালোমন্দ খাওয়া।
(কার্তিককে ডিএসএলআর-এ ছবি তুলতে দেখে পিসি রেগে গিয়ে)
পিসি = এই! এই কাতু! ওটা ব্যাগে ঢোকা আগে। চালাকি পায়া হ্যায়! কার্নিভালে এসে ম্যাথুর মতন স্টিং করতা হ্যায়!
কার্তিক = আরে না না! আমি ফেসবুকে দেব বলে ছবি তুলছি।
পিসি = ওসব আমি নেহি জানতা হ্যায়! ক্যামেরা দেখলেই আমার স্নেহের ভাই গুলো ভয় পায়! আসলে, গোয়াল বার্নিং কাউ ফিয়ার সিঁদুরে ক্লাউড, আরকি!
(কার্তিক ক্যামেরা ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার তীর ধনুক নিয়ে পোজ দিতে শুরু করলো)
পিসি = তুই কি রে কাতু! এখনো তীর ধনুকেই পড়ে আছিস! ওরে কেস্টা ওকে দু-চারটে পেটো অন্তত দে।
(লক্ষীর দিকে তাকিয়ে)
পিসি = তোকে কতোবার ফোন করে বিশ্ব ব্যাঙ্গ সম্মেলনে আসতে বললাম, তাও একবারও এলি না! আগে তো প্রায় সুদীপ কাকুর সাথে অ্যাম্বুলেন্সে চড়েও আসতিস!
(সরস্বতী নোটপ্যাড নিয়ে ব্যস্ত। তার দিকে তাকিয়ে খানিকটা রেগে গিয়ে)
পিসি = যতই খুটুর পুটুর করো না কেন, ভুলে যেও না , ইন্টারনেট ব্যালেন্স আমার গরমেন্টই ভরে।
মহিষাসুর = পিসি আমাদের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিটার কি হলো?
পিসি = আমি তোর সাথে একটাও কথা বলবো না। আমাকে মা বোলতা হ্যায়। ওউর হামার বিরুদ্ধে চক্কান্ত করতা হ্যায়!
দুর্গা = পিসি এবারে অন্তত বিদায় দিন। আমার ভোলেবাবা হয়তো আমাকে ভুলেই গেছে..
পিসি = চিন্তা করিস না! যেতে দেরি হবে সেটা আমি হোয়াটস অ্যাপ করে দিয়েছি। আর হ্যাঁ, ভোলেবাবা যাতে একাএকা বোরিং না হয় তাই মদনাকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment