আজ ১৫ই আগস্ট, স্বাধীনতা দিবস। প্রায় ২০০ বছরের 'বিটিশ' অত্যাচার, খুন, ধর্ষন, লাশ গুম থেকে আজকের দিনেই ভারতবর্ষ মুক্তি পেয়েছিল। যদিও ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেলেও বাংলা স্বাধীনতা পায়নি! বাংলা ৩৪ বছর ধরে হার্মাদদের হাতে পরাধীন থাকার পর, আমার হাত ধরে ২০১১ সালে স্বাধীন হয়। তাই বাংলার মানুষের দুটো স্বাধীনতা দিবস পালন করে। ১৫ই আগস্ট সেন্ট্রাল স্বাধীনতা দিবস ও ২১শে জুলাই 'ইস্টেট' স্বাধীনতা দিবস। এই, এই, চোপ! চোপ! কথা বলোনা কেউ! মন দিয়ে শোনো!
'বিটিশ'রা প্রথমে এই বঙ্গে সিরাজের 'বিশ্ব বঙ্গ' সম্মেলনে এসে বলেছিল তারা এখানে বিনিয়োগ করতে চায়। সিরাজ অতো সাতপাঁচ না ভেবেই অনুমতি দেয়। পরে তারা কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখেনি। বেআইনি ভাবে তারা একেরপর এক রাজার জমি অধিগ্রহন করতে থাকে। শুরুতেই যদি সিরাজ, শের সাহের তৈরী জিটি রোডের উপর একটা অনশন মঞ্চ বেঁধে আমার মতন আন্দোলন শুরু করতো তাহলে হয়তো 'বিটিশ'রা এতোটা এগোতে সাহস পেতো না। তবে এটাও ঠিক যে মীরজাফর দলের ভিতরে এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ চালাচ্ছিল যেটা সিরাজ কন্ট্রোল করতে পারেনি। আসলে সিরাজ জানতো না যে 'বিটিশ'রা তখন ভারতে নীল চাষ নিয়ে যে সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছিলো, তার একটা ভাগ মীরজাফরও পেতো।
এই! এই! ওখানে কারা কথা বলছে! সিসিটিভি লাগানো আছে কিন্তু! আমি সব লক্ষ্য রাখছি! হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম, সিপিএম মাত্রেই কিন্তু হার্মাদ নয়! যেমন এই চাষার ব্যাটা, দীপালি এদের সমস্ত পাপ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ধুয়ে গেছে। ঠিক তেমনই 'বিটিশ' মাত্রেই খারাপ, এটা একপ্রকার কুৎসা, অপপ্রচার। রামমোহন বাবু যখন এমএলএ ছিলেন তখন বেন্টিং, রিপনের মতন 'বিটিশ'রা বিধানসভায় যথেষ্ট সহায়তা করতেন।
বঙ্গভঙ্গের সময় রবীন্দ্রনাথ আমার প্রিয় ঘাসফুল আর হলুদ সুতো দিয়েই রাখী তৈরি করেন। আমাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন যে হদুল সুতোর পরিবর্তে নীল-সাদা সুতো দেবে কিনা! আমি তেমন কোনো আপত্তি না করায় উনি হলুদ সুতো দিয়েই কাজ চালান। একবার তো গান্ধীজি অনশন আন্দোলন করার সময় হটাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। হোয়াটস অ্যাপে খবরটা পেয়ে আমি দ্রুত রবি বাবুকে নিয়ে হাজির হই। ওনার হাতেই ফলের রস খেয়ে উনি অনশন ভাঙেন। আমি গান্ধীজিকে পরে অনেক বোঝাই যে - অনশন যদি করতেই হয় তাহলে আমার মতন চকলেট খেয়ে করুন। রবি বাবুও বকাবকি করেন। তবে আজ রবি বাবুর জন্য খুব দুঃখ হয়। ওনার নোবেলটা কে ঝেঁপে দিল সেটা আমি খুঁজে বার করবোই! আমার দলীয় কর্মীদের আছে আবেদন করছি, চলুন আজকে এই স্বাধীনতা দিবসে শপত নিই আমরা সবাই মিলে নোবেল খুঁজে বার করবোই। আমি নিশ্চিত দলীয় কর্মীরা সাহায্য করলে নোবেল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে!
এবারে পতাকা উত্তোলন হবে, 'ইন্দোনীল' একটা রবীন্দ্র সঙ্গীতের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বাকিরা যারা আছো, কচি নচি সবাই গলা মেলাও। এবারে আমি স্বাধীনতা 'ইস্পেশাল' একটা স্লোগান দেব। তোমরা সবাই আমার সাথে গলা মেলাবে ....
এই দিকে দিকে - তিনোমূল, এই জালিয়ানওয়ালাবাগে - তিনোমূল, এই নন্দীগ্রামে - তিনোমূল, এই বঙ্গভঙ্গে - তিনোমূল, এই আইন অমান্যে - তিনোমূল, এই চট্টগ্রামে - তিনোমূল, এই পিংলাতে - তিনোমূল, এই খগড়াগড়ে - তিনোমূল,
এই দিকে দিকে - তিনোমূল, এই জালিয়ানওয়ালাবাগে - তিনোমূল, এই নন্দীগ্রামে - তিনোমূল, এই বঙ্গভঙ্গে - তিনোমূল, এই আইন অমান্যে - তিনোমূল, এই চট্টগ্রামে - তিনোমূল, এই পিংলাতে - তিনোমূল, এই খগড়াগড়ে - তিনোমূল,
দাঁড়াও! দাঁড়াও! কেউ বাড়ি যাবেনা! আমাদের কেষ্টা সবার জন্য আজ গুড়জলের ব্যবস্হা করছে। সবাই খেয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment