Monday 29 August 2016

শুভ জন্মাষ্টমী

                                                                শুভ জন্মাষ্টমী 
আজ হতে ৫২৩৮ বছর পূর্বে ১৯শে জুলাই তারিখে ভাদ্রমাসের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণ জন্ম গ্রহণ করেন বলে একে জন্মাষ্টমী বলা হয়। যদিও অনেকে এখন দাবী করছেন কৃষ্ণের জন্ম নাকি ২১শে জুলাই হয়েছিল। কংশের কারাগারে বসুদেব ও দেবকীর সংসারে তিনি জন্ম নেন। বাসুদেব কিন্তু কোনো চিটফান্ডের মালিক ছিলেন না! আসলে উন্নয়নপ্রেমী কংশকে কে ভগবান একদিন ওয়াসঅ্যাপ করে জানায় যে তার বোন দেবকীর অষ্টম সন্তান তাকে হত্যা করবে। তাই তিনি তার বোন ও ভগ্নিপতীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে বন্দি করে রাখেন। তারপর চক্রান্ত করে একের পর এক সাতটি সন্তানকে হত্যা করে আর বোনের কাছে এসে কুমিরের কান্না কেঁদে বোনে 'ছোট্টো ঘটনা' বলে সান্ত্বনা দেয়। এমনকি ক্ষতি পূরনের আশ্বাস দিয়ে রেটও ঠিক করে দেন।
অবশেষে এক গভীর রাতে কৃষ্ণের জন্ম হয়। জেলের ম্যাক্সিমাম কর্মীরা সন্ধ্যা থেকেই চটুল নাচের আসরে মদ মাংস খেয়েছিল। তাই তারা বেহুঁশ হয়ে ঘুমাচ্ছিল। আর জেলের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব কংশ যেদিন থেকে কোহরাবকে দিয়েছিল কোহরাব সেদিন থেকেই জেলের গারদের লোহা গুলি চুরি করা শুরু করেছিল। এখন গারদের দরজার কেবল ফ্রেমটাই আছে, মাঝের রড গুলি নেই। আসলে কংশ 'মিনিমাম' খেতে বললেও কোহরাব 'ম্যাক্সিমাম' খেয়েছিল। কংশ নিজেও একসপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুতে সজ্জাসায়ী। তাই কৃষ্ণকে নিয়ে বাসুদেবের কারাগার থেকে পালাতে অসুবিধা হয়নি। তবে রাস্তায় বাসুদেবকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ছিল। রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় তাকে ত্রিফলার খোলা তার বাঁচিয়ে সাবধানে হাঁটতে হচ্ছিলো। বাসুদেব জানতো গত মার্চেই ওভার-ব্রিজটা ভেঙে পড়েছিলো। তাই তিনি নদীটা সাঁতরে পার হবেন ঠিক করলেন। তবে কাজটা মোটেই সহজ ছিলো না। কারণ DVC চক্রান্ত করে প্রচুর জল ছাড়ায় নদী উত্তাল ছিল।
নদী পার হয়ে গোকুলের নন্দ-যশোদা দম্পতির কাছে কৃষ্ণকে রেখে আসেন।অন্যদিকে সেই দম্পতির সদ্য জন্মনেওয়া কন্যাসন্তানকে কারাগারে দেবকীর কোলে স্হান দেন। নিন্দুকের অনেকেই বলেন বাসুদেব নাকি কন্যাশ্রীর টাকা পাবার জন্য এমন করেন। ছোটবেলা থেকেই কৃষ্ণ দামাল প্রকৃতির ছিলো। আর চুরি করার জিনটা তো মাতুলকুল থেকেই পেয়েছিল। কংশ অনেক চেষ্টা করেছিল গোকুলের পুরসভা দখল করার, নন্দকে অর্থের প্রলোভনও দেখিয়েছিল। নন্দ ছিলো গো-পালক গোষ্ঠীর প্রধান। তাই কংশ, নন্দের বাড়ির ফ্রিজে গো-মাংস আছে বলে কুৎসা রটান। পরে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়। এরপর থেকেই নন্দ গোকুলের সমস্ত গরুর আধার কার্ড করে দেন। কংশ কৃষ্ণকে মারতে পুতনাকে পাঠান। পুতনা গোকুলে গিয়ে হুমকি দিতে থাকে - ' কোথায় সেই বাচ্চা? তাড়াতাড়ি বলো, নাহলে আমি সবার বাচ্চা খসিয়ে দেব"। ছোট্টো কৃষ্ণ পুতনাকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল। পুতনাকে দিয়ে কাজ না হওয়াতে চাষার ব্যাটাকে দিয়ে কালিয়া নাগ পাঠায় কৃষ্ণকে হত্যা করতে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
কৃষ্ণের মধ্যে যে কেবল মাতুল থেকে চুরির জিন এসেছিল তা নয়! কৃষ্ণের মধ্যে তার মদন মামার জিনও ছিলো। কৈশরেই রাধা নামের এক কিশোরীকে ফ্লাট করতো। ফেসবুকেই দুজনের পরিচয় হয়। প্রথমে চ্যাট তারপর যমুনার পাড়ে ডেটিং। কৃষ্ণের ইনবক্স খুলে দেখা যায় সে ১৬১০০ গোপিনীর সাথে চ্যাট করত প্রতিদিন। রাধার সঙ্গে যৌবনে মথুরায় প্রত্যাবর্তন করে কৃষ্ণ তাঁর মামা কংশের অনুগামীদের দ্বারা সংঘটিতবহু হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষা করে বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল খাটিয়ে কংশকে হত্যা করেন।
(বি.দ্র. - এটা একটা কাল্পনিক লেখা। পুরাণ বা ধর্মের সাথে এর কোনো সংযোগ নেই)

No comments:

Post a Comment