কৃতজ্ঞতা—সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
@পাগলা দাশু
কেউ কথা রাখেনি, চব্বিশ মাস
কাটলো কেউ কথা রাখেনি
গ্রেপ্তার হবার সময় পারতোদা তার
বক্তৃতা হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
মদন নির্দোষ তাড়াতাড়ি জামিন
পেয়ে যাবে।
তারপর কত উকিল এলো
কতো জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেল, কিন্তু সেই
বেল আর হল না
চার মাস প্রতীক্ষায় আছি ।
‘শান্ত হও মদনঠাকুর
তোমাকে আমি ভোটে জিতিয়ে বের
করে নিয়ে আসবো’।
সেখানে ববি আর সৌগত টাকা নিয়ে খেলা করে !
দিদি, আমি আর কবে ছাড়া পাবো?
আমার
মাথা শুকিয়ে মাটি স্পর্শ করলে তারপর
তুমি আমায় ঝিঙ্কু মামনিদের নাচ দেখাবে ?
একটাও রয়্যাল স্ট্যাগের
বোতল কিনতে পারিনি কখনো
ভর্তি-গেলাস
দেখিয়ে দেখিয়ে পান করেছে ওই টালির বাড়ির
ছেলেরা।
টাইটানিক সিনেমার মতন দু’হাত ছড়িয়ে
ছবি তুলেছি ভেতরে
সুরার উৎসব
অবিরাম বাংলুর ধারার মধ্যে মাতাল
হয়ে পড়া মদনাকে দেখে ফর্সা রমণীরা কতরকম
আমোদে হেসেছে
মুকুলের দিকে তারা ফিরেও চায়নি !
পারতোদাদা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন,
দেখিস, একদিন আমরাও...
পারতোদা এখন উন্মাদ, আমাদের
দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল স্টাগের বোতলগুলি, সেই মুর্গির ঠ্যাং,
সেই সুদীপ্তের অফিসে উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না !
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল
রেখে পিয়ালী বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ
হবে !
ভালবাসার জন্য আমি কতো কেস খেয়েছি
দুরন্ত পুলিশের চোখে বেঁধেছি নীল কাপড়
সারা বাংলা তন্ন তন্ন
করে খুঁজে এনেছি সাদা এ্যামবাসাডার
তবু কথা রাখেনি পিয়ালী, এখন তার
বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে কোন নারী !
কেউ কথা রাখেনি, এক বছর কাটলো,
কেউ কথা রাখে না !
হে গুরুদেব, তুমিই ঠিক, আমরা সব ভুল,
ReplyDeleteঠান্ডা থাকো, কুল থাকো, নাহলে ক্যালাবে তিনোমুল