সখী, ঘুষ কাহারে বলে,
সখী, অনুদান কাহারে বলে।
তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘অনুদান’ ‘অনুদান’—
সখী, অনুদান কারে কয়! সে কি কেবলই নারদাময়।
সে কি কেবলই হাতের মল? সে কি কেবলই সি বি আই-র শ্বাস?
লোকে তবে করে কী সুখেরই তরে এমন দুখের আশ।
আমার চোখে তো সকলেই শোভন,
সকলেই মির্জা, সকলেই হাকিম, সুনীল আকাশ, মুকুল মদন,
বিশদ জোছনা, কুসুম কাকলি—
সকলেই আমার মতো।
তারা
কেবলই হাসে,
কেবলই গায়, অনুদান লইয়া মরিতে চায়—
না জানে বেতন, না পায় মদন, না জানে সাধের যাতনা যত ।
টাকা সে হাসিতে হাসিতে ঝরে, পুলিশ হাসিয়া মিলায়ে যায়,
হাসিতে হাসিতে সূর্যসাগরে মানুষের ভোট হারায়ে যায় ।
আমার মতন সুখী কে আছে, আয় সখী, আয় আমার কাছে—
সুখী হৃদয়ের সুখের গান শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ।
প্রতিদিন যদি নারদ আসে একদিন নয় কাঁদিবি তোরা—
একদিন নয় অনুদান লয়ে সকলে মিলিয়া জেলে যাবো মোরা।....
(কবিগুরুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী)
সৌজন্য: অঞ্জন মুখোপাধ্যায়
No comments:
Post a Comment