দুই বৌদির ব্যক্তিগত কথপোকথন
ময়না = (কেঁদে কেঁদে ) হ্যলো নন্দিনী, শুনেছিস তোর দীপ’দাকেও সিবিআই ঢুকিয়ে দিলো! শেষ রক্ষা করতে পারলুম না!
নন্দিনী = ( স্বামী জেলে সঙ্গী পেয়েছে সেই আনন্দ চেপে, দুখী দুখী ভাব করে ) হ্যাঁ, খবরে দেখলুম।
ময়না = ( ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ) তোর মতন আমিও সারাদিন সিজিওতে পড়েছিলুম। বীরের মতন সাতসকালে এসেছিল, শেষে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
নন্দিনী = কপাল দিদি, কপাল! শাশুড়ির ওপর অবিচারের ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। তা নাহলে সবাই খীর খেল, এমনকি ভিডিওতেও দেখা গেল, আর কেবল আমাদের দুজনের স্বামী ভিতরে ঢুকলো!
ময়না = শোন না, তুই তো ভালো রান্না করিস! তোর দীপ’দা পোস্ত খেতে খুব ভালোবাসে। তুই দু’দিন পোস্তোর বড়া আর আলুপোস্ত করে জেলে নিয়ে যাবি! উড়েদের জেলের রান্না যদি তোর দীপ'দা সহ্য করতে না পারে!
নন্দিনী = আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কবে আসছো?
ময়না = আরে আমার টিকিট কনফার্ম হলেই রওনা দেব।
নন্দিনী = তুমি দেরি না করে দাদার সাইকেলটা নিয়েই বেরিয়ে পড়ো!
মরনা = ধুস! সবুজসাথীর ঐ লক্কড় সাইকেল ভুবনেশ্বর পর্যন্ত আমার থোড়াই সাথ দেবে!
নন্দিনী = আরে না না! আমি বহরমপুরের সাইকেলের কথা বলছিলুম!
ময়না = না বাবা! ওটা ওর জীবনের প্রথম সাইকেল, যেতে যেতে যদি ভেঙে যায় তাহলে আর রক্ষে থাকবে না!
নন্দিনী = বলছি, মলন'দা জেলে থাকার কোনো টিপস দিলো?
ময়না = ও হ্যাঁ, বলতে ভুলেগেছি! মদনদা পই পই করে বারন করেছে প্যানিক অ্যাটাকের অভিনয় করতে। ওখানের হাসপাতালে কোনো উডবার্ন নেই!
নন্দিনী = আচ্ছা, রায় বৌদি'কে একবার ফোন করে সিবিআইয়ের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার টিপস চাইলে কেমন হয়!
ময়না = ধুস! উনি কিছুই জানেন না। গোকুল'দার ছাড়া পাওয়ার রহস্য একমাত্র শিউলি জানে।
নন্দিনী = তা দিদি আর কেউ ভুবনেশ্বরে আসছে? কিছু খবর পেলে?
ময়না = খবরে বলছিল জেলে নাকি এবারে বেদে আর তার মেয়ে জ্যোৎস্না আসছে!
নন্দিনী = বেদেকে নিয়ে চিন্তা নেই, চিন্তা তো জ্যোৎনাকে নিয়ে৷ আমার 'মাল'টাকে তো আমি হাড়ে হাড়ে চিনি! জেলের ভিতরেই যদি ... তুমি দীপ'দাকে বোলো ওকে সচেতন করে দিতে। জেলের বাইরে হোক বা ভিতরে, দীপ'দাই তো মূখ্য সচেতক!
ময়না = আমাদের স্বামীদের জেল থেকে ছাড়ানোর কোনো গা নেই দিদির!
নন্দিনী = ঠিক বলেছ দিদি, তাও দীপ'দাকে ধরতে তবুও একটু নড়েচড়ে উঠেছে! আমার বরকে ধরার পর মনে হয়েছিল, সিবিআই চন্দননগরের মালকে না ধরে একটা পকেটমারকে ধরেছে!
ময়না = আর কি এমন নড়েচড়ে উঠল শুনি! ঐ একদিন এবিপির মতন ঘন্টাখানেক অবরোধ সঙ্গে একটা শিশু মৃত্যু। ব্যাস! খেল খতম!
ময়না = যা বলেছ দিদি! ছেলে গুলোকে কোথায় এখন সিজিওতে ঢোকাবে! না এখন কলেজে কলেজে এস এফ আই পেটাতে পাঠাচ্ছে!
নন্দিনী = দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে লোক হাসাতে হাজির হয়েছিল! ওটা একটা আন্দোলন!
ময়না = নামেই সুলতান, আর পুলিশের প্যাঁদানির ভয়ে পালাচ্ছে। আর ঐ নাট্যকার জাল গাড়ির ভিতর প্রেক্ষীত খুঁজে বেড়াচ্ছে! ঢং দেখলে গা পিত্তি জ্বলে যায়!
নন্দিনী = এক সপ্তাহ হতে গেলো, এখনও গোষ্টো পালের পায়ের নিচে অনশন মঞ্চের বাঁশ পর্যন্ত পড়ল না!
ময়না = মদনার বেলায় পুষ্প বৃষ্টি, অনশন, কতো আয়োজন! আর আমাদের বরেদের বেলায় ... চক্রান্ত কে করছে আমরা বুঝি না! যেদিন ভাইপোকে তুলে নিয়ে যাবে সেদিন দেখবি হাওয়াই চটি খুলে ছুটছে!
নন্দিনী = যা বলেছ দিদি। ঠিক ফোন করে সেটিং করে নেবে! তবে আজকে একটু আশার আলো দেখেছি। দিদি অনেকদিন পর সংখ্যালঘু ছেড়ে সংখ্যাগুরুদের প্রশংসা করেছেন। মনেহয় গাড়ি ঠিক লাইনেই যাচ্ছে। জয় জগন্নাথ।
( নেটওয়ার্ক প্রবলেম )
ময়না = ধুস! জিওর কানেক্সশানটা দিনে দিনে যাচ্ছেতাই হয়ে যাচ্ছে! আচ্ছা শোন, আমি দুদিনের মধ্যেই যাচ্ছি। দাদার খেয়াল রাখিস! ওকে বাই!
( বি. দ্র. = বাস্তবের সাথে এই সংলাপের কোনো মিল থাকলে সেটা কাকতালীয় )
ময়না = (কেঁদে কেঁদে ) হ্যলো নন্দিনী, শুনেছিস তোর দীপ’দাকেও সিবিআই ঢুকিয়ে দিলো! শেষ রক্ষা করতে পারলুম না!
নন্দিনী = ( স্বামী জেলে সঙ্গী পেয়েছে সেই আনন্দ চেপে, দুখী দুখী ভাব করে ) হ্যাঁ, খবরে দেখলুম।
ময়না = ( ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ) তোর মতন আমিও সারাদিন সিজিওতে পড়েছিলুম। বীরের মতন সাতসকালে এসেছিল, শেষে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
নন্দিনী = কপাল দিদি, কপাল! শাশুড়ির ওপর অবিচারের ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। তা নাহলে সবাই খীর খেল, এমনকি ভিডিওতেও দেখা গেল, আর কেবল আমাদের দুজনের স্বামী ভিতরে ঢুকলো!
ময়না = শোন না, তুই তো ভালো রান্না করিস! তোর দীপ’দা পোস্ত খেতে খুব ভালোবাসে। তুই দু’দিন পোস্তোর বড়া আর আলুপোস্ত করে জেলে নিয়ে যাবি! উড়েদের জেলের রান্না যদি তোর দীপ'দা সহ্য করতে না পারে!
নন্দিনী = আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কবে আসছো?
ময়না = আরে আমার টিকিট কনফার্ম হলেই রওনা দেব।
নন্দিনী = তুমি দেরি না করে দাদার সাইকেলটা নিয়েই বেরিয়ে পড়ো!
মরনা = ধুস! সবুজসাথীর ঐ লক্কড় সাইকেল ভুবনেশ্বর পর্যন্ত আমার থোড়াই সাথ দেবে!
নন্দিনী = আরে না না! আমি বহরমপুরের সাইকেলের কথা বলছিলুম!
ময়না = না বাবা! ওটা ওর জীবনের প্রথম সাইকেল, যেতে যেতে যদি ভেঙে যায় তাহলে আর রক্ষে থাকবে না!
নন্দিনী = বলছি, মলন'দা জেলে থাকার কোনো টিপস দিলো?
ময়না = ও হ্যাঁ, বলতে ভুলেগেছি! মদনদা পই পই করে বারন করেছে প্যানিক অ্যাটাকের অভিনয় করতে। ওখানের হাসপাতালে কোনো উডবার্ন নেই!
নন্দিনী = আচ্ছা, রায় বৌদি'কে একবার ফোন করে সিবিআইয়ের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার টিপস চাইলে কেমন হয়!
ময়না = ধুস! উনি কিছুই জানেন না। গোকুল'দার ছাড়া পাওয়ার রহস্য একমাত্র শিউলি জানে।
নন্দিনী = তা দিদি আর কেউ ভুবনেশ্বরে আসছে? কিছু খবর পেলে?
ময়না = খবরে বলছিল জেলে নাকি এবারে বেদে আর তার মেয়ে জ্যোৎস্না আসছে!
নন্দিনী = বেদেকে নিয়ে চিন্তা নেই, চিন্তা তো জ্যোৎনাকে নিয়ে৷ আমার 'মাল'টাকে তো আমি হাড়ে হাড়ে চিনি! জেলের ভিতরেই যদি ... তুমি দীপ'দাকে বোলো ওকে সচেতন করে দিতে। জেলের বাইরে হোক বা ভিতরে, দীপ'দাই তো মূখ্য সচেতক!
ময়না = আমাদের স্বামীদের জেল থেকে ছাড়ানোর কোনো গা নেই দিদির!
নন্দিনী = ঠিক বলেছ দিদি, তাও দীপ'দাকে ধরতে তবুও একটু নড়েচড়ে উঠেছে! আমার বরকে ধরার পর মনে হয়েছিল, সিবিআই চন্দননগরের মালকে না ধরে একটা পকেটমারকে ধরেছে!
ময়না = আর কি এমন নড়েচড়ে উঠল শুনি! ঐ একদিন এবিপির মতন ঘন্টাখানেক অবরোধ সঙ্গে একটা শিশু মৃত্যু। ব্যাস! খেল খতম!
ময়না = যা বলেছ দিদি! ছেলে গুলোকে কোথায় এখন সিজিওতে ঢোকাবে! না এখন কলেজে কলেজে এস এফ আই পেটাতে পাঠাচ্ছে!
নন্দিনী = দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে লোক হাসাতে হাজির হয়েছিল! ওটা একটা আন্দোলন!
ময়না = নামেই সুলতান, আর পুলিশের প্যাঁদানির ভয়ে পালাচ্ছে। আর ঐ নাট্যকার জাল গাড়ির ভিতর প্রেক্ষীত খুঁজে বেড়াচ্ছে! ঢং দেখলে গা পিত্তি জ্বলে যায়!
নন্দিনী = এক সপ্তাহ হতে গেলো, এখনও গোষ্টো পালের পায়ের নিচে অনশন মঞ্চের বাঁশ পর্যন্ত পড়ল না!
ময়না = মদনার বেলায় পুষ্প বৃষ্টি, অনশন, কতো আয়োজন! আর আমাদের বরেদের বেলায় ... চক্রান্ত কে করছে আমরা বুঝি না! যেদিন ভাইপোকে তুলে নিয়ে যাবে সেদিন দেখবি হাওয়াই চটি খুলে ছুটছে!
নন্দিনী = যা বলেছ দিদি। ঠিক ফোন করে সেটিং করে নেবে! তবে আজকে একটু আশার আলো দেখেছি। দিদি অনেকদিন পর সংখ্যালঘু ছেড়ে সংখ্যাগুরুদের প্রশংসা করেছেন। মনেহয় গাড়ি ঠিক লাইনেই যাচ্ছে। জয় জগন্নাথ।
( নেটওয়ার্ক প্রবলেম )
ময়না = ধুস! জিওর কানেক্সশানটা দিনে দিনে যাচ্ছেতাই হয়ে যাচ্ছে! আচ্ছা শোন, আমি দুদিনের মধ্যেই যাচ্ছি। দাদার খেয়াল রাখিস! ওকে বাই!
( বি. দ্র. = বাস্তবের সাথে এই সংলাপের কোনো মিল থাকলে সেটা কাকতালীয় )
No comments:
Post a Comment