কৈলাসের কেলেঙ্কারি
ফেলুদা নিউজ চ্যানেল গুলো পাল্টে পাল্টে দেখছে। একটা ন্যাশান্যাল চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ বলে দেখাচ্ছে.... গুলমেহের দিল্লী ছাড়লেন, এমন সময় তোপসে এসে বলল, লালমোহন বাবু এসেছেন। ফেলুদা টিভিটা বন্ধ করে বলল, যাক হনুমান গুলো হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো! চল দ্যেখি, একসপ্তাহ পর এসেছেন। প্রশ্নের নিশ্চয়ই পাহাড় নিয়ে এসেছেন! বৈঠকখানার ঘরে ঢুকে ফেলুদা বলল, তা কি খবর! মশাইয়ের কোনো পাত্তা নেই যে! লালমোহন বাবু বললেন, এক সপ্তাহ পর মাকে অ্যাপেলো থেকে গতকাল বাড়িতে নিয়ে এলাম। ফেলুদা পকেট থেকে একটা চারমিনার বার করতে করতে বলল, পুরো টাকাটা পেমেন্ট করেছিলেন তো? লালমোহন বাবু জিভ কেটে বলল, কি যে বলেন!
তারপর লালমোহন বাবু কৌতূহল নিয়ে বললো, মিত্তির মশাইয়ের হাতে কি এখন কোনো কেস আছে? না মানে অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি তো! তাই ভাবছিলুম যদি একটু পোল্যান্ড ঘুরে আসা যেত! তোপসে বলল - ফেলুদা সাবধান! পোল্যান্ডে যদি আবার প্লেন ল্যান্ড করতে দেরি হয় তাহলে কিন্তু লালমোহন বাবু 'চক্কান্ত, চক্কান্ত' বলে চিৎকার করতে পারে! ফেলুদা চানমিনারে একটা সুখটান দিয়ে অবশেষটা অ্যাশট্রেতে গুঁজে বলল, পরিবর্তনের বাংলায় কি কেসের অভাব আছে! কদিন ধরে উত্তরবঙ্গের শিশু পাচার কেসটা নিয়ে ভাবছি!
লালমোহন বাবু উত্তেজিত হয়ে বলল, অতো ভাবার কি আছে মশাই! এতো জলের মতন পরিস্কার! এই চক্রের সাথে মামাটির যোগ তো ত্রিফলার মতন জ্বলজ্বল করছে। তাছাড়া ঐ সঞ্চালক ছোকরা তো নিজে মুখেই স্বিকার করছে যে ও কার অনুপ্রেরণায় করেছে! তোপসে লালমোহন বাবুর হাতের দিকে তাকিয়ে বলল, সাবধান! ওমনভাবে আঙুল তুলে কথা বললে কিন্তু জয়াদি আঙুল কেটে নেবে!
ফেলুদা আরেকটা চারমিনার ধরিয়ে বলল- জুহি ম্যাডামের অন্তর্ধান রহস্য, নর্থ ব্লকে সান্ধ্য ভ্রমণ, এমনকি দ্রৌপদীও বস্ত্রদান করে কিছু একটা চাপা দিতে চেষ্টা করছে!গন্ধটা বড়ো সন্দেহজনক! লালমোহন বাবু বললেন দেশপ্রেমিকরা কোনো দিন শিশুপাচারের মতন জঘন্য কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারেনা! আনপসিবেল! ফেলুদা বলল, ISI স্ট্যাম্প মারা দেশপ্রেমিকরা কি কি পাচার করে সেটার তালিকা কৃশানুর কাছে পেয়ে যাবেন! আর কথাটা আনপসিবেল নয়! ইমপসিবেল। লালমোহন বাবু কিছুটা জিভ কেটে বললেন, মিসটেক! তাহলে রামভক্তরা এখন ঘেসো গুলোর শিশুপাচারের জোট সঙ্গী? জোট তো অনেকদিন ধরেই চলছে, না না অফিসিয়ালি কোথাও ঘোষনা করেনি! তবে মোষটা একবার হাম্বা করে সম্মতি জানিয়েছিল। লালমোহন বাবু ফেলুদার কথার ভাঁজ বুঝতে না পেরে করুনভাবে তোপসের দিকে তাকালো। তোপসে হেসে বলল, এটা টুইটের নতুন ট্রেন্ড।
বাইরে বারন্দায় রাখা পোষা চন্দনা পাখিটি অনেক্ষণ ধরেই বলে চলেছে, 'কৈলাসে কেলেঙ্কারি'। ফেলুদা প্রথমে ভেবেছিল কথাটি লালমোহন বাবুকে দেখে বলছে। আসলে কেউ কিছু বললে সেটা ও খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে ফেলে। এবারে অ্যাসট্রেটা ভরে গেছে বলে সিগারেটের অবশেষটা বাইরে ফেলতে বারান্দায় গিয়ে হঠাৎ খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো! মিনিট পাঁচেক মন দিয়ে চন্দনার বুলি শুনলো! তারপর মনেমনে হাসতে লাগলো! দেরি হচ্ছে দেখে তোপসে আর লালমোহন বাবু দুজনে বারান্দায় হাজির হয়ে দেখলো, ফেলুদা খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পাখিটাকে ছোলা খাওয়াচ্ছে। কাছে যেতেই ফেলুদা বলল, চন্দনা কি বলছে শুনুন! এবারে পরিষ্কার ভাবে শোনা গেল চন্দনার বুলি... ' কৈলাসের কেলেঙ্কারি'
ফেলুদা নিউজ চ্যানেল গুলো পাল্টে পাল্টে দেখছে। একটা ন্যাশান্যাল চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ বলে দেখাচ্ছে.... গুলমেহের দিল্লী ছাড়লেন, এমন সময় তোপসে এসে বলল, লালমোহন বাবু এসেছেন। ফেলুদা টিভিটা বন্ধ করে বলল, যাক হনুমান গুলো হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো! চল দ্যেখি, একসপ্তাহ পর এসেছেন। প্রশ্নের নিশ্চয়ই পাহাড় নিয়ে এসেছেন! বৈঠকখানার ঘরে ঢুকে ফেলুদা বলল, তা কি খবর! মশাইয়ের কোনো পাত্তা নেই যে! লালমোহন বাবু বললেন, এক সপ্তাহ পর মাকে অ্যাপেলো থেকে গতকাল বাড়িতে নিয়ে এলাম। ফেলুদা পকেট থেকে একটা চারমিনার বার করতে করতে বলল, পুরো টাকাটা পেমেন্ট করেছিলেন তো? লালমোহন বাবু জিভ কেটে বলল, কি যে বলেন!
তারপর লালমোহন বাবু কৌতূহল নিয়ে বললো, মিত্তির মশাইয়ের হাতে কি এখন কোনো কেস আছে? না মানে অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি তো! তাই ভাবছিলুম যদি একটু পোল্যান্ড ঘুরে আসা যেত! তোপসে বলল - ফেলুদা সাবধান! পোল্যান্ডে যদি আবার প্লেন ল্যান্ড করতে দেরি হয় তাহলে কিন্তু লালমোহন বাবু 'চক্কান্ত, চক্কান্ত' বলে চিৎকার করতে পারে! ফেলুদা চানমিনারে একটা সুখটান দিয়ে অবশেষটা অ্যাশট্রেতে গুঁজে বলল, পরিবর্তনের বাংলায় কি কেসের অভাব আছে! কদিন ধরে উত্তরবঙ্গের শিশু পাচার কেসটা নিয়ে ভাবছি!
লালমোহন বাবু উত্তেজিত হয়ে বলল, অতো ভাবার কি আছে মশাই! এতো জলের মতন পরিস্কার! এই চক্রের সাথে মামাটির যোগ তো ত্রিফলার মতন জ্বলজ্বল করছে। তাছাড়া ঐ সঞ্চালক ছোকরা তো নিজে মুখেই স্বিকার করছে যে ও কার অনুপ্রেরণায় করেছে! তোপসে লালমোহন বাবুর হাতের দিকে তাকিয়ে বলল, সাবধান! ওমনভাবে আঙুল তুলে কথা বললে কিন্তু জয়াদি আঙুল কেটে নেবে!
ফেলুদা আরেকটা চারমিনার ধরিয়ে বলল- জুহি ম্যাডামের অন্তর্ধান রহস্য, নর্থ ব্লকে সান্ধ্য ভ্রমণ, এমনকি দ্রৌপদীও বস্ত্রদান করে কিছু একটা চাপা দিতে চেষ্টা করছে!গন্ধটা বড়ো সন্দেহজনক! লালমোহন বাবু বললেন দেশপ্রেমিকরা কোনো দিন শিশুপাচারের মতন জঘন্য কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারেনা! আনপসিবেল! ফেলুদা বলল, ISI স্ট্যাম্প মারা দেশপ্রেমিকরা কি কি পাচার করে সেটার তালিকা কৃশানুর কাছে পেয়ে যাবেন! আর কথাটা আনপসিবেল নয়! ইমপসিবেল। লালমোহন বাবু কিছুটা জিভ কেটে বললেন, মিসটেক! তাহলে রামভক্তরা এখন ঘেসো গুলোর শিশুপাচারের জোট সঙ্গী? জোট তো অনেকদিন ধরেই চলছে, না না অফিসিয়ালি কোথাও ঘোষনা করেনি! তবে মোষটা একবার হাম্বা করে সম্মতি জানিয়েছিল। লালমোহন বাবু ফেলুদার কথার ভাঁজ বুঝতে না পেরে করুনভাবে তোপসের দিকে তাকালো। তোপসে হেসে বলল, এটা টুইটের নতুন ট্রেন্ড।
বাইরে বারন্দায় রাখা পোষা চন্দনা পাখিটি অনেক্ষণ ধরেই বলে চলেছে, 'কৈলাসে কেলেঙ্কারি'। ফেলুদা প্রথমে ভেবেছিল কথাটি লালমোহন বাবুকে দেখে বলছে। আসলে কেউ কিছু বললে সেটা ও খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে ফেলে। এবারে অ্যাসট্রেটা ভরে গেছে বলে সিগারেটের অবশেষটা বাইরে ফেলতে বারান্দায় গিয়ে হঠাৎ খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো! মিনিট পাঁচেক মন দিয়ে চন্দনার বুলি শুনলো! তারপর মনেমনে হাসতে লাগলো! দেরি হচ্ছে দেখে তোপসে আর লালমোহন বাবু দুজনে বারান্দায় হাজির হয়ে দেখলো, ফেলুদা খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পাখিটাকে ছোলা খাওয়াচ্ছে। কাছে যেতেই ফেলুদা বলল, চন্দনা কি বলছে শুনুন! এবারে পরিষ্কার ভাবে শোনা গেল চন্দনার বুলি... ' কৈলাসের কেলেঙ্কারি'